আপনার ভোটার নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন আপনি যেখানে বসবাস করেন তার সাথে সংযুক্ত। একজন কলেজ শিক্ষার্থী হিসেবে, আপনার স্টেটের বাসিন্দা বা রেসিডেন্সির শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে আপনি হয় আপনার নিজ শহর বা হোমটাউন কিংবা আপনি যেখানে কলেজে পড়ছেন সেখানে ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্টার করতে পারেন। স্মরণ রাখবেন: আপনি একাধিক স্থানে বসবাস করতে পারেন, তবে আপনি শুধু একটি স্থানে ভোট দিতে অনুমোদিত।
আপনার হোমটাউন (নিজের শহর) অথবা আপনার কলেজ টাউনের মধ্যে একটি বেছে নিন
যদি আপনি আপনার হোম টাউন থেকে ভিন্ন কোনো সিটিতে কলেজে যান, তবে কোথায় ভোট দেবেন তা নির্ধারণ করার সময় আপনি বিবেচনা করতে পারেন এমন কিছু বিষয় এখানে দেয়া হলো:
- কোন স্থানটি আপনার জন্য বেশি সুবিধাজনক?
- প্রতিটি স্থানে ব্যালটে কে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন?
- উভয় স্থানে কোনোটিতে স্থানীয় নীতি (পলিসি) কিংবা সুনির্দিষ্ট বিষয় আছে কি, যা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
আপনি কোথায় ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করবেন তা বিনা খরচে ফেডারেল স্টুডেন্ট এইডে আবেদন, পেল গ্র্যান্ট, পারকিনস্, অথবা স্ট্যাফোর্ড লোন সহ আপনার ফেডারেল ফাইন্যানশিয়াল এইডে (আর্থিক সাহায্য) প্রভাব ফেলবে না। এটা স্টেটের অভ্যন্তরীণ টুইশনের (স্কুলের বেতন) যোগ্য হবেন কিনা তাতে প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার নিজ শহর বা হোমটাউনে ভোটদান
এমনকি আপনি দূরে বছরের অধিকাংশ সময় স্কুলে থাকলেও, আপনার নিজ শহর বা হোমটাউনে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকতে পারে। কী কী খেয়াল রাখতে হবে, তা এখানে দেয়া হলো:
- আপনার নিজ শহর বা হোমটাউনের স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করুন। আপনার রেজিস্ট্রেশনে ডাক-ঠিকানা হিসেবে আপনার কলেজের ঠিকানা ব্যবহার করুন।
- আপনি যদি সশরীরে ভোট দিতে অক্ষম হন সেক্ষেত্রে অনেক স্টেট আপনাকে একটি ডাকযোগে পাঠাবার জন্য (মেইল) ব্যালট অনুরোধ করার সুযোগ দেয়। কিছু স্টেট প্রতিটি ভোটারকে আপনা-আপনিভাবে একটি ব্যালট ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয়। প্রতিটি স্টেটের নিজস্ব পথ-নির্দেশনা রয়েছে, সেজন্যে আপনার স্টেট অথবা টেরিটোরিতে (অঞ্চল) কী কী নিয়ম-কানুন রয়েছে তা দেখে নিন (ইংরেজিতে)। আপনি মেইল বা ডাক-ব্যালটটি আপনার কলেজ ঠিকানায় পাঠাতে বলতে পারেন।
- আপনি যদি নির্বাচনের সময় আপনার নিজ শহরে থাকেন, তাহলে আপনার সশরীরে ভোট দেয়ারও সুযোগ থাকতে পারে। নির্বাচনের দিন অথবা এর আগে কোথায় ভোট দিতে হবে তা খুঁজতে একটি পোলিং প্লেইস লোকেটর (নির্বাচন কেন্দ্র অনুসন্ধান) (ইংরেজিতে) ব্যবহার করুন।
আপনার নিজস্ব স্টেটে একটি ভিন্ন টাউনে ভোটদান
আপনি যদি আপনার নিজস্ব স্টেট বা টেরিটোরির (অঞ্চল) কোনো কলেজে পড়ছেন, কিন্তু একটি ভিন্ন টাউনে, সেক্ষেত্রে আপনার সেখানে ভোট দেয়ার বিকল্প থাকতে পারে। কী কী খেয়াল রাখতে হবে, তা এখানে দেয়া হলো:
- যদি এটা আপনার প্রথমবারের মত ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করা হচ্ছে, তবে আপনার স্টেটের ভোটদানের জন্য রেসিডেন্সি বা আবাসনসংক্রান্ত শর্তাবলী দেখে নিন। সেখানে রেজিস্টার করতে সক্ষম হতে, আপনাকে হয়তো আপনার কলেজ টাউনে নির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বসবাস করতে হতে পারে।
- আপনার যোগ্যতা নিশ্চিত করার পর, আপনি ক্যাম্পাসে অথবা ক্যাম্পাসের বাইরে যে ভবনে বসবাস করেন, সেটার ডাক-ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করতে পারেন। রেজিস্টার করার জন্য কোনো ক্যাম্পাসের মেইলক্স ঠিকানা ব্যবহার করবেন না, তবে আপনি আপনার ডাক-ঠিকানা (মেইলিং অ্যাড্রেস) হিসেবে একটি ক্যাম্পাসের মেইলবক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি কোন ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে তাতে নিশ্চিত না হন, তবে আপনার স্কুলের নাগরিক সংশ্লিষ্টতা (সিভিক এনগেজমেন্ট) অফিস অথবা স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
- আপনি যদি ইতোমধ্যেই আপনার নিজ শহর বা হোমটাউনে ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্টার করে থাকেন, তবে আপনার কলেজের ঠিকানা দিয়ে আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশন হালনাগাদ করুন। কোন ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে সেবিষয়ে আরও পথ-নির্দেশনার জন্য, আপনার স্থানীয় নির্বাচনী অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন (ইংরেজিতে)।
- আপনি যদি আগে ভোটদান (আর্লি ভোটিং) চলাকালে অথবা নির্বাচনের দিনে আপনার নিজ শহরে (হোমটাউন) যেতে সক্ষম হন, তবে কোথায় ভোট দেবেন তা খুঁজতে একটি পোলিং প্লেইস লোকেটর (নির্বাচন কেন্দ্র অনুসন্ধান) (ইংরেজিতে) ব্যবহার করুন।
- আপনি যদি সশরীরে ভোট দিতে অক্ষম হন অথবা শুধু ডাকযোগে ভোট দিতে পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে কিছু স্টেট আপনাকে অ্যাবসেন্টি (অনুপস্থিতিতে ভোটদান) অথবা মেইল বা ডাক-ব্যালট অনুরোধ করার সুযোগ দেয়। কিছু স্টেট পুরো নির্বাচন ডাকযোগে সম্পন্ন করে। প্রতিটি স্টেটের নিজস্ব পথ-নির্দেশনা রয়েছে, সেজন্যে আপনার স্টেট অথবা টেরিটোরির (অঞ্চল) নিয়ম-কানুন দেখে নিন।
স্টেটের বাহিরে আপনার কলেজ টাউন থেকে ভোটদান
আপনি যদি আপনার নিজ স্টেটের পরিবর্তে অন্য কোনো স্টেটের কলেজে পড়ছেন, তবে আপনার সেখানে ভোট দেয়ার বিকল্প আছে। কী কী খেয়াল রাখতে হবে, তা এখানে দেয়া হলো:
- কিছু স্টেটের ক্ষেত্রে, সেখানে ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করার আগে আপনাকে অবশ্যই সেই স্টেটে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক দিন বসবাস করতে হবে। যে স্টেটে আপনার কলেজ, সেখানকার ভোটদানের জন্য আবাসনসংক্রান্ত শর্তাবলী জানতে নির্বাচনী অফিসের ওয়েবসাইট (ইংরেজিতে) দেখে নিন।
- আপনার যোগ্যতা নিশ্চিত করার পর, আপনার কলেজ স্টেটে ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করুন। আপনি ক্যাম্পাসে অথবা ক্যাম্পাসের বাইরে যে ভবনে বসবাস করেন, সেটার ডাক-ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করতে পারেন। রেজিস্টার করার জন্য কোনো ক্যাম্পাসের মেইলবক্স ঠিকানা ব্যবহার করবেন না, তবে আপনি আপনার ডাক-ঠিকানা (মেইলিং অ্যাড্রেস) হিসেবে একটি ক্যাম্পাসের মেইলবক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি কোন ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে তাতে নিশ্চিত না হন, তবে আপনার স্কুলের নাগরিক সংশ্লিষ্টতা (সিভিক এনগেজমেন্ট) অফিস অথবা স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
- আপনি কি ইতোমধ্যেই আপনার নিজ স্টেটে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন বা রেজিস্টার করেছেন, কিন্তু আপনার রেজিস্ট্রেশন আপনার কলেজ স্টেটে পরিবর্তন করতে চান? আপনি নতুন স্থানে যাবার পর অধিকাংশ কাউন্টি এবং স্টেটে আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার প্রয়োজন হয় না। তবে অনেক স্টেট এবং স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে বিভিন্ন ফর্ম আছে যেগুলো আপনি আপনার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে জমা দিতে পারেন। ভোটার বাতিলকরণ (ক্যান্সেলেশন) ফর্ম পেতে আপনার স্টেট অথবা স্থানীয় নির্বাচনী অফিস খুঁজুন (ইংরেজিতে)।
দেশের বাহিরে পড়াশোনা করার সময় ভোটদান
আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক হন তবে আপনি বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে ভোট দিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে থাকার সময় ভোটদান সম্পর্কে আরও জানুন (ইংরেজিতে)।
ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্টার বা নিবন্ধনকরণ
আপনি নিবন্ধিত হবার পর, পুরো বছর জুড়ে স্থানীয়, স্টেট, এবং ফেডারেল নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
রেজিস্টার করার জন্য আপনার বেছে নেবার বিভিন্ন উপায় রয়েছে
ভোটদানের জন্য রেজিস্টার করার জন্য প্রতিটি স্টেট এবং টেরিটোরি (অঞ্চল) নিজস্ব নিয়মাবলী স্থির করে। আপনি সেগুলিতে সক্ষম হতে পারেন:
- অনলাইনে রেজিস্টার করুন: অধিকাংশ স্টেট অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রদান করে। আপনি অনলাইনে রেজিস্টার বা নিবন্ধন করতে পারবেন কিনা তা জানতে আপনার স্টেট অথবা টেরিটোরি (অঞ্চল) বেছে নিন।
- ডাকযোগে নিবন্ধন বা রেজিস্টার করুন: New Hampshire, North Dakota, Wisconsin, এবং Wyoming ছাড়া অন্য সকল স্টেটে ব্যবহারের জন্য আপনি ন্যাশনাল মেইল ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম (ডাকযোগে জাতীয় ভোটার নিবন্ধন ফরম) (ইংরেজিতে) ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারেন। ফর্মটি বহু ভাষায় পাওয়া যাবে।
- সশরীরে উপস্থিত হয়ে রেজিস্টার করুন: আপনি আপনার স্টেট অথবা স্থানীয় নির্বাচনী অফিস (ইংরেজিতে) অথবা আপনার স্টেটের মোটর ভেহিকেল অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে রেজিস্টার করতে পারেন।
ভোটার নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা জেনে নিন
জাতীয় ভোটার নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশনের কোনো সময়সীমা নেই। কিছু স্টেটে, রেজিস্টার করার শেষ দিন হচ্ছে নির্বাচনের দিনের 30 দিন আগে। অন্য স্টেটগুলোতে, আপনি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত রেজিস্টার করতে পারেন। নির্বাচনের দিন বলতে যেকোনো নির্বাচন (স্থানীয়, স্টেট, অথবা জাতীয় নির্বাচন) বোঝায়। আপনার স্টেটের ভোটার নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা জেনে নিন (ইংরেজিতে)।
ভোট দিতে প্রস্তুত?
আপনার সময়সূচি এবং নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী ভোট দেয়ার জন্য বিভিন্ন নমনীয় বিকল্প রয়েছে।
ভোটার পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি
প্রতিটি স্টেট এবং টেরিটোরি (অঞ্চল) ভোটার শনাক্তকরণের নিজস্ব বিধি ধার্য করে। অধিকাংশ স্টেটে, সশরীরে ভোট দেয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিচয়পত্র (আইডেন্টিফিকেশন) নিয়ে আসতে হবে এবং ডাকযোগে ভোট দেয়ার সময় পরিচিতিমূলক তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনার স্টেটের ভোটার পরিচিতিমূলক শর্তাবলী দেখে নিন (ইংরেজিতে)।
আপনি যদি নাও গাড়ি চালান, আপনার স্থানীয় মোটোর ভেহিকেল অফিস থেকে একটি পরিচয়পত্র (আইডেন্টিফিকেশন কার্ড) পেতে পারেন। আপনাকে একটি পরিচয়পত্রের (আইডেন্টিফিকেশন কার্ড) জন্য অর্থ পরিশোধ করতে হবে, তবে কিছু সংস্থা আছে যারা আপনাকে এই পরিচয়পত্রের অর্থ সংক্রান্ত সহায়তা করতে পারে।
ভোট দেয়ার জন্য আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রয়োজন নেই।
আপনার ব্যালট সম্পর্কে জানুন
আপনি যেন একটি সজ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন সেজন্যে আপনার ভোট আপনার কমিউনিটিতে কীভাবে প্রভাব ফেলে তা জানুন।
অনেক নির্বাচনী অফিস অনলাইনে বিভিন্ন নমুনা ব্যালট প্রকাশ করে। কিছু আবার অনলাইনে অথবা ডাকযোগে প্রার্থীদের এবং ব্যালটে উল্লেখিত কোনো রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। আরও তথ্যের জন্য আপনার স্টেট অথবা স্থানীয় নির্বাচনী ওয়েবসাইট দেখুন।
ভোটকেন্দ্রের একজন কর্মী হতে সাইন আপ করুন
একজন বেতনভোগী ভোটকেন্দ্রে কর্মী হয়ে আপনার কমিউনিটিকে সমর্থন করুন। আপনি কোথায় বসবাস করেন সেটার উপর ভিত্তি করে ভোটকেন্দ্রের কর্মীর দায়িত্ব ভিন্ন হয়। অনেক স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে ভোটকেন্দ্রের কর্মীরা বিভিন্ন কাজ করেন, যেমন:
- একটি ভোটকেন্দ্র গঠন করেন
- ভোটারদের স্বাগত জানান
- ভোটার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করেন
- ব্যালট বিতরণ করেন
- ভোটদানের সরঞ্জাম ব্যবহারে ভোটারদের সহায়তা করেন
- ভোটদানের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন
ভোটকেন্দ্রের কর্মী হিসেবে, আপনার সময়ের জন্য আপনাকে বেতন দেয়া হবে। অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বেতন ভিন্ন হয়। কীভাবে একজন ভোটকেন্দ্রের কর্মী (পোল ওয়ার্কার) হওয়া যায়, সেবিষয়ে আরো জানুন (ইংরেজিতে)।